রবিবার, ০৮ Jun ২০২৫, ০২:১৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোটার : আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ভাদাইলে র্যাব-১ এর বিশেষ অভিযানে জাল টাকা ব্যবসায়ী চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার ও জাল টাকা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদিসহ ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬শ’ টাকা মূল্যমানের জাল টাকা উদ্ধার করেছে।
রবিবার (১০ জানুয়ারি ২০২১ইং) র্যাব জানায়, সম্প্রতিকালে জাল টাকা তৈরির সাথে বেশ কয়েকটি চক্র জড়িত আছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়। বাংলাদেশের আর্থিক চাকাকে অচল করতে এবং সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে অধিক মুনাফার লোভে জাল টাকা তৈরি ও বাজারজাত করা সংঘবদ্ধ কিছু চক্র সক্রিয় হয়েছে। এই চক্রগুলো জাল টাকা তৈরি করে নির্দিষ্ট কয়েকজন সদস্য দিয়ে আসল টাকার ভিতরে জাল টাকা মিলিয়ে দিয়ে সহজ সরল মানুষকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর এ চক্রের কিছু সদস্য র্যাবের জালে ধরা পড়ে। তাদের তথ্য সূত্রে অভিযান চালোনো হয়েছে।
এ ব্যাপারে র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোর্শেদুল হাসান জানান, এরই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার র্যাব-১ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, আশুলিয়া থানাধীন দক্ষিণ ভাদাইলস্থ হাজী নুরুল হক প্রি-ক্যাডেট হাইস্কুলের পাশে জাহাঙ্গীরের বাড়ির ৩য় তলার পূর্ব পাশের ফ্লাটে একটি চক্র জাল টাকা তৈরি করে আসছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক বিশেষ দলটি বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় জালনোট ব্যবসায়ী চক্রের মোঃ মিজানুর রহমান (৩৯) ও মোঃ রেজাউল ইসলাম (৩৬)কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬শ’ টাকা মূল্যমানের জালনোট, ৫টি মোবাইল ফোন, ১টি কি-বোর্ড, ২টি টোনার, ১টি ল্যাপটপ, ১টি লেমিনেটিং মেশিন, ১টি প্রিন্টার, ১০টি স্ক্যানার বোর্ড, ২টি থাই বোর্ড, ৮৫০ গ্রাম টু পার্ট পেপার জাল ছাপ, ৩ বৈয়ম সোনালী রং, ৫টি এন্টি কাটার, ১টি হিট লাইট, ৫টি হিট লাইট বাল্ব, ৫টি রাবার, ২টি এন্টি কাটার ব্লেড, ২টি ক্লাম, ৬টি স্কেল, ২টি ফয়েল পেপার, ১টি হাতুড়ী, ৩টি লিকুইড রং, ৩টি গাম, ২ কেজি পেইন্ট, ২ কৌটা হলুদ রং, ৫টি সেনসিটিজার, ২টি ব্যাগ, ৪টি থাইগ্লাস, ২ কেজি টাকা বানানোর কাগজ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত আসামী মিজানুর রহমান ২০১২ সালে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। ইতিপূর্বে মাদক মামলায় পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করে। কারাভোগ শেষে গত ৩ মাস আগে অধিক মুনাফার লোভে জাল টাকা তৈরি চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়ে। গ্রেফতারকৃত অপর আসামী রেজাউল ইসলাম তার এই অবৈধ জাল টাকা তৈরিতে সহযোগী হিসেবে কাজ করত।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, উদ্ধারকৃত জাল টাকা, সরঞ্জামাদি ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব জানায়, অপরাধীদের গ্রেফতার করতে এরকম অভিযান অব্যাহত থাকবে, অপরাধী সে যেই হোক না কেন তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।
এসএস